আপনি ও আপনার বন্ধু একি মডেলের, একই কোম্পানির, একই বাইক চালাচ্ছেন একসাথে একই এলাকায়। আপনার বন্ধু অনেক খুশি আপনি ঠিক তার উল্টো মানে বেজায় বেজার।
জয়েন করুন ৫০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
কারণ আপনি যখন আপনার বন্ধুর সাথে চালাচ্ছেন কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু আপনাকে ওটি মেরে দিচ্ছে । মাইলেজের হিসেবে আপনার বন্ধু এগিয়ে যাচ্ছে অথবা পারফরম্যান্সের দিক থেকে আপনার বন্ধু সবসময় আপনাকে চোখ রাঙাচ্ছে।
সেইম দাম দিয়ে কি সময় একই বাইক একই এলাকায় কিনে চালিয়ে কেন এমনটা হচ্ছে। আপনার অবস্থা যদি ঠিক এরকম হয়ে থাকে তাহলে আজকের আলোচনা আপনার জন্য।
এফ আই, কার্বোরেটর, কার্বন ক্লিনার
আপনার বাইকটি যদি ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমের হয়ে থাকে তাহলে প্রথম আপনাকে এই ফুয়েল ইঞ্জেকশনটা ক্লিন করতে হবে। চার থেকে ছয় হাজার কিলোমিটার পরপর ফুয়েল ইনজেকশন ক্লিন করার কথা বলা আছে অনার্স ম্যানুয়াল এ। আবার আপনার বাইক যদি কার্বোরেটর হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কার্বোরেটর এর কার্বন জমে থাকলেও এই প্রবলেম টা দেখা দিতে পারে।
আরো একটা কাজ আপনারা করতে পারেন সেটা হচ্ছে কার্বন ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। কার্বন ক্লিনার কেন ব্যবহার করবেন কিভাবে ব্যবহার করবেন কতদিন পর পর ব্যবহার করবেন ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের খুব সুন্দর একটা ভিডিও রয়েছে এবং সম্পর্কিত একটা ভালো আর্টিকেল রয়েছে আমাদের সাইটে ভিজিট করে আসতে পারেন।
আরো পড়তে পারেন
- কার্বনের আতঙ্ক, যেকোন সিঃসিঃ, ব্র্যান্ড, বাইক
ভিডিও
- খারাপ ফুয়েল নিয়ে চিন্তা নেই আর
ভালো খারাপ ফুয়েলের তারতম
ভালো খারাপ ফুয়েলের তারতম হলেও এরকমটা হতে পারে। আপনার বন্ধু যে পাম্প থেকে ফুয়েল নিচ্ছেন ওই পাম্পের ফুয়েল হয়তো ভালো আপনি খারাপ ফুয়েল সংগ্রহ করছেন অথবা এলাকা থেকে খোলা ফুয়েল সংগ্রহ করছেন। ফুয়েলের তারতম্য থাকার কারণে আপনার ইঞ্জিন সঠিক পাওয়ার পাচ্ছে না এবং ফুয়েল সঠিক ভাবে বার্ন হতে পারছে না যার কারণে সঠিক শক্তি উৎপাদন করতে না পারায় আপনি সেইম বাইক চালানোর কারণে আপনার বন্ধুর কাছে হেরে যাচ্ছেন।
**টায়ার প্রেশার ঠিক রাখা **
আপনি যে রাস্তায় চালাচ্ছেন সেই রাস্তার উপর ভিত্তি করে বাইকের টায়ার প্রেসার সেট করতে হবে যদি আপনি অনেক বেশি পরিমান কাঁদা যুক্ত রাস্তায় চালিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার বাইকের টায়ারের প্রেশার একটু কম রাখতে হবে যদি মসৃণ রাস্তায় চালান সে ক্ষেত্রে একটু বাড়িয়ে রাখতে পারেন এতে আপনি গতি ভালো পাবেন। টায়ারের প্রেশার হেরফের হলে আপনার বাইকের পারফরম্যান্সের অনেক বেশি হেরফের হতে পারে। টায়ার নিয়েও আমাদের খুব সুন্দর একটি ভিডিও রয়েছে এবং আর্টিকেল রয়েছে আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
- টায়ার প্রেসার নিয়ে ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
**আর পি এম ঠিক না থাকলে **
সাধারণত দিনের শুরুতে বাইকের ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকা অবস্থায় বাইক স্টার্ট করলে বাইকের আরপিএম ১৩০০ এর কাছাকাছি থাকা উচিত। যদি এর কম অথবা বেশি হয় তাহলে আপনাকে আরপিএম টা পুরো পুনরায় সেট করে নিতে হবে। আরপিএম কম বেশি হলে থ্রটল এবং ক্লাসের কম্বিনেশনটা ঠিক থাকবে না সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনার বেশি ফুয়েল খরচ হয়ে যাচ্ছে অথবা ফুয়েল যতটুকু দরকার ততটুকু আপনি সরবরাহ করছেন না ইঞ্জিনে।
সঠিক গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল
সাধারণত একটা নতুন বাইক কেনার পরে আমরা সবচেয়ে বেশি টেনশন এ পড়ি যে আমি আমার বাইকে কি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবো, কোন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করব, সেটা সিন্থেটিক হবে নাকি মিনারেল হবে, কত কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করব ইত্যাদি নানান বিষয় । এ সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ভিডিও এবং আর্টিকেল রয়েছে তারপর আমি ছোট করে বলে দিচ্ছি আপনাকে অনার্স ম্যানুয়াল দেখে ইঞ্জিন ওয়েলের গ্রেড নির্বাচন করে ইঞ্জিন ওয়েল উৎপাদন করে এমন কোন কোম্পানি বাইকের জন্য নির্বাচন করবেন।
**ভিডিও **ইঞ্জিন অয়েল, কোন ব্রান্ড, কোন গ্রেড, কত দিন পর পর
আমি এখানে মেইন কিছু পয়েন্ট নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম যে কারণগুলো সবচেয়ে বেশি ঘটে এর বাইরেও কিছু কারণ রয়েছে যেমন আপনার স্পার্ক প্লাগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে ক্লাসপ্লেট দুর্বল হয়ে যেতে পারে কিন্তু এটা অনেক পরের ঘটনা। আশা করছি এই বিষয়গুলো খেয়াল করলে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে বাজিতে জিতে যাবেন।