তরুণ-যুবক, কর্মজীবি মানুষ, বয়স্ক মানুষ সবাই এখন বাইক ব্যবহার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাইক চালানো শিখে, সবাই পছন্দমতো বাইক কিনছেন। কিন্তু শুধু বাইক চালানো শিখলেই হবে না, বাইক চালানোর সময়, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক রুলস, আরো কিছু বিষয় সবসময় মেনে চলতে হবে। নাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় অনেক সময় প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। চলুন জেনে নিই বাইক চালানোর সময় যে ভুলগুলো আপনার প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
০১ । বাঁক বা মোড় নেবার সময় হর্ন অথবা ডিপার অথবা দুটোই একসাথে ব্যবহার করবেন
বাঁক বা মন নেওয়ার সময় আমরা অনেক সময় মিডিল লাইন এর বাইরে গিয়ে বাঁক বা মোড় নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রথমত আমাদের এই জিনিসটা পরিহার করতে হবে যদি অতিরিক্ত বাকা হয় যদি আপনার দক্ষতা না থাকে সেক্ষেত্র বাইকের গতি কমিয়ে আনুন এবং মিডল লাইনের বাইরে কোন অবস্থায় যাওয়া যাবে না। বাঁক বা মোড় নেবার সময় আপনাকে হর্ন বাজাতে হবে, রাতের বেলা হলে সেখানে ডিপার দিয়ে ওপোজিট সাইট থেকে আসা যানবাহনকে সিগন্যাল দিতে হবে যে আপনি এখান থেকে পাস হচ্ছেন ।
০২। লুকিং গ্লাস দেখে বাইক চালাবেন
লুকিং গ্লাসটা শুধুমাত্র হেলমেট রাখার জন্য অথবা আপনার চেহারা দেখার জন্য বা চুলটা আঁচড়ানোর জন্য দেওয়া হয় নাই। লুকিং গ্লাস দেওয়া হয়েছে আপনি বাইক চালানোর সময় আপনার পেছনে যে যানবাহনগুলো রয়েছে অথবা ব্লাইন্ড স্পটে যানবাহনগুলো রয়েছে সেগুলো কে নির্ণয় করার জন্য। আমরা অনেকেই ডানে-বামে মোর নেবার সময় বা লেন চেঞ্জ করার সময় লুকিং গ্লাস না দেখে মাথা ঘুরায়, এতে ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়।
আরো পড়তে পারেন
০৩। ক্লাস এবং গিয়ার এর ব্যবহার
অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা জ্যামের মধ্যে চালাচ্ছি কিন্তু গিয়ার ঠিক না থাকার কারণে বারবার বাইক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার এমনও দেখা যাচ্ছে যে গিয়ার আমরা একবার উঠিয়ে রেখেছি সেটা আর আমরা কমাচ্ছি না জ্যামের মধ্যে আমরা যখন বাইকটাকে চালাচ্ছি তখন অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়ে যাচ্ছে বাইকের। আবার আমরা যখন স্পিড ব্রেকার পার হচ্ছি তখন আমরা ব্রেকার পার হওয়ার পরে গিয়ারগুলো চেঞ্জ করছি নতুন করে আবার গিয়ার তুলছি। এভাবেই অনেকগুলো সময় নষ্ট হচ্ছে এবং পেছনে যানবাহনটা পেছন থেকে আপনাকে আঘাত করা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
০৪। কুয়াশায় বাইক চালানোর সময় বাইকের ইন্ডিকেটর জ্বালিয়ে রাখুন
বাইকে অধিকাংশ সিগন্যাল টাইপের লাইট এ দেখবেন হলুদ একটা আভা দেওয়া হয়। আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে যে বাইকের লাইটগুলো কেন হলুদ দেওয়া হয়। এটার কারণ হচ্ছে হলুদ আভাটা অনেক দূর থেকে দেখা যায়। তাই অধিক কুয়াশায় বাইক চালানোর সময় বাইকের হেড লাইট ফগ জ্বালানোর পাশাপাশি আমরা আমাদের বাইকে ইন্ডিকেটরটাও চালিয়ে রাখবো।
০৫ । ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি
ট্রাফিক সাইনের অর্থ বুঝে নেবেন এবং মেনে চলবেন। দেশের যে রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল কাজ করে না, সে ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে চলুন। এমনভাবে বাইক চালাবেন যাতে যেকোনো সময় বাইক থামাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
আরো পড়তে পারেন
বাইকের নিয়মিত যত্ন নিন। বাইকের ইঞ্জিন, জ্বালানি, ব্রেকিং সিস্টেম, টায়ার, ইনডিকেটর, ঠিক আছে কিনা নিয়মিত চেক করবেন। নির্দিষ্ট সময় পর পর বাইক পরিষ্কার করবেন। ইঞ্জিন অয়েল এবং লুব্রিকেন্ট ভালো মানের ব্যবহার করবেন। নাহলে সব দিক খেয়াল রাখার পরেও অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদে পড়তে পারেন।
