প্রকৃত স্পোর্টস বাইকের কর্মক্ষমতার সঙ্গে একই পাল্লায় তুলনীয় না হলেও, জ্যামের নগরী ঢাকার রাস্তায় গড়ে অন্তত ২০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে গেলেও নীচের বাইকগুলো আপনার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হতে পারে। বাইকপ্রেমীদের জন্য এখানে ঠিক সেরকম পাঁচটি বাইকের তালিকা তুলে ধরা হলো।
জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
###Hero Karizma XMR 210
Hero Karizma XMR 210-এ সেগমেন্টের প্রথম অ্যাডজাস্টেবল উইন্ড স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের তালিকায় উপস্থিত ডিআরএল এবং অটো ইলুমিনেশন ফাংশন সমেত একটি এলইডি প্রোজেক্টর হেডল্যাম্প, শার্প ফুলফেয়ারিং, স্প্লিট টাইপ সিট, একটি হৃষ্টপুষ্ট এগজস্ট এবং স্লিক এলইডি টেলল্যাম্প।
Hero Karizma XMR 210-এ আছে একটি ২১০ সিসি, DOHC, ৪-ভাল্ভ, লিকুইড-কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ এইচপি শক্তি এবং ২০.৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। যেখানে Bajaj Pulsar RS200-তে উপস্থিত একটি ১৯৯.৫ সিসি, লিকুইড কুল্ড, SOHC, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, DTSi মোটর। যার আউটপুট ২৪.২ এইচপি এবং টর্ক ১৮.৭ এনএম। ট্রান্সমিশনের দায়িত্ব পালন করতে উভয় মোটরসাইকেলেই উপস্থিত ৬-গতির গিয়ারবক্স।
Karizma XMR এর বর্তমান মূল্য- 4,99,990 টাকা। তবে প্রথম ৫০০ টি প্রি-বুকিংয়ে বাইকটি পাওয়া যাবে 3,99,990 টাকায়।
আরো পড়তে পারেন
###Honda CBR150R
Honda CBR 150R হোন্ডার অন্যতম একটি স্টাইলিশ সুপার বাইক! এর অসামান্য বৈশিষ্ট্য গুলি যেমন - চমৎকার Sportive Look এবং অসাধারণ রং এবং গ্রাফিক্সের সংমিশ্রণ সহ Oil-Cooled শক্তিশালী ইঞ্জিন যা একটি প্রোগ্রামের দ্বারা জ্বালানি পদ্ধতি পরিচালিত। বাংলাদেশে এর দাম তুলনামূলক বেশি, তবে ফ্যাশন-ভিত্তিক বাংলাদেশীদের চাহিদা এধরনের বাইকে সবসময় ই আছে। Honda CBR 150R স্পোর্টস বাইকটি মোটর স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডের একটি বড় সম্পদ। বাংলাদেশে Yamaha R15 v3, Suzuki GSX R150 এই সুপার ড্যাশিং বাইকের প্রধান প্রতিযোগী।
বাইকটিতে 149.4 সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা লিকুইড-কুল্ড, 4-স্ট্রোক, 4-ভালভ, ডিওএইচসি, এসআই ইঞ্জিন। এর জ্বালানী পদ্ধতিতে ফুয়েল ইনজেকশন, এটিতে ৬ স্পিড গিয়ার রয়েছে এবং এর সর্বচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় 134 কিলোমিটার। এটির মোট 13 লিটার জ্বালানী ধারণ ক্ষমতা, যা প্রতি লিটারে গড়ে 40 কিলোমিটার চলতে সক্ষম।
Honda CBR150R Price List; New Honda CBR150R (ABS) Tk.600,000.00 Honda CBR150R (Thailand) Tk.550,000.00
###Yamaha R15M
বর্তমান বিশ্বে R15 একটি বড় নাম। যেটি বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী মোটরসাইকেল শিল্পের দারুন এক সম্পদ। জাপানিজ ব্রান্ড Yamaha তাদের তাদের এই R15 বাইকটি সর্বপ্রথম বিশ্ববাসিকে পরিচয় করিয়ে দেয় 2008 সালে। এটির ব্যপক সাফল্যের পর Yamaha নিয়মিতই R15 বাইকটি হালনাগাদ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে Yamaha পর্যায়ক্রমে R15 V2, R15 V3 এবং বর্তমানে R15M বাংলাদেশ সহ বিশ্ব বাজারে লঞ্চ করে। বাংলাদেশের বাজারে Yamaha এর সর্বশেষ সংযোজন Yamaha R15M, যেটি বরাবরের মতই আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্য সম্বলিত একটি তুখর Sports বাইক।
Yamaha তাদের এই বাইকটিতে 155cc ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে, যেটি Liquid-cooled, 4-stroke, SOHC, 4-valve। এটি সর্বোচ্চ শক্তি 13.5kW(18.4PS)/10000 RPM এবং সর্বোচ্চ টর্ক 14.2 Nm (1.4 kgfm) @7,500 RPM উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকটির জ্বালানী ধারন ক্ষমতা 11 লিটার। জ্বালানী সহ বাইকটির ওজন 142 কিলোগ্রাম।
Yamaha R15M Price Tk.675,000
আরো পড়তে পারেন
###Suzuki GSX R150
বাংলাদেশে বর্তমানে Suzuki GSX R150 বাইকটিকে গতির রাজা বলাহয়। বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে শক্তিশালী FI (fuel injection) ইঞ্জিন এবং এই GSX R150 বাইকটি আকারে তুলনামূলক কিছুটা ছোট এবং হালকা হওয়ায় বাইকটির acceleration চমৎকার। Suzuki এই মডেলটি প্রথম দিকে 02 November 2016 এ ইন্দোনেশিয়ায় চালু করেছিল। ধীরে ধীরে ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বাজারজুড়ে বেশ ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
Suzuki GSX R150 এবং GSX S150 বাহ্যিক গঠনে পার্থক্য থাকলেও এতে একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। GSX S150 এর তুলনায় GSX R150 বেশি স্পোর্টি লুক এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত, এবং বাংলাদেশে এগুলোর দামেও রয়েছে যথেষ্ট পার্থক্য। দুটি বাইকেই ১৪৭.৩ সি সি ইঞ্জিন, যার সর্বোচ্চ ক্ষমতা 18.90 Bhp @ 10,500 rpm, এবং সর্বোচ্চ ঘূর্ণন বল 14 NM @ 9000 rpm। এটি Single cylinder, liquid-cooled, 4-Stroke, 4-Valve ইঞ্জিন। এটিতে fuel-injection জ্বালানি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভাল মাইলেজে ভূমিকা রাখে।
Suzuki GSX R150 ABS Tk.455,000
###Lifan KPR 165
শুরু থেকেই higher cc বাইকগুলোর দেশের মাটিতে অনুমোদন না থাকায় বাংলাদেশে sports category বাইক ব্যাপক হারে বৃদ্ধিপায়। চোখের সামনে এই ধরনের বাইকগুলো দেখতে দেখতে স্থানীয়রা এই category বাইকের ভক্ত হয়েযায়, অর্থাৎ sports category বাইকগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠে স্থানীয় বাজারে। আজকে আমরা কথা বলবো চাইনিজ ব্রান্ড Lifan এর তৈরি KPR 165 বাইকটি নিয়ে। Lifan KPR 165 এমন একটি sports category বাইক যেটি ডিজাইন এবং কর্মক্ষমতার দিক থেকে যেকোন নামি দামি ব্রান্ডের বাইকের সাথে তুলনাযোগ্য।
Lifan KPR 165 বাইকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে 165cc, Single Cylinder, 4 Stroke, Liquid Cooled ইঞ্জিন। যেটি Maximum Power 17 Bhp @ 8000 RPM এবং Maximum Torque 17 NM @ 6500 RPM উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকটির সর্বমোট ওজন 150 Kg। বাইকটির জ্বালানি ধারন ক্ষমতা 14L।
Lifan KPR 165 EFI Tk.235,000.00 Lifan KPR 165 Tk.199,000.00
