বাইক আর বাইকার এক হওয়া মানেই রাইড, হোক শর্ট অথবা লং। হোক সলো অথবা গ্রুপ রাইড, বাইকারদের কাছে যেকোনো রাইড মানেই এক্সাইটমেন্ট, থ্রিল আর মজা।
তবে লং রাইডে যাবার পথে অথবা লং রাইড থেকে ফেরার পথে যদি বাইকে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে পুরো টুরের মজাটাই শেষ বরং অভিজ্ঞতায় যোগ হয় কিছু ভোগান্তি। তাই লং ডিস্টেন্সে রাইডে বের হবার আগে বাইকের একটা ফুল চেক আপ এবং হালকা সার্ভিসিং করে নেয়া সবচেয়ে ভালো। কিন্ত শুধু নামীদামী সার্ভিস সেন্টারে বাইক দিয়ে আসলেন আর সার্ভিস শেষে নিয়ে আসলেই হবেনা, অবশ্যই আপনার রাইড স্মুথ করার জন্য সার্ভিস সেন্টারে যেই কাজগুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করবেন সেই ব্যাপারে কিছুটা ধারনা দেয়ার চেস্টা করছি। আশা করি নিচের চেক আপ গুলো করে রাইডে বের হলে আপনার বাইক আপনার সাথে পুরো রাইড জুড়ে বন্ধুর মত সাপোর্ট দিবে।
আরো পড়ুন
- মোডিফিকেশন উপকারী নাকি ঝুকিপূর্ণ?
- সাংঘাতিক বিপদের নাম ট্যাংক স্ল্যাপার
- জার্মানি দেশের অয়েল সমাচার ও আমাদের দেশের বাইকারদের কনফিউশ
সার্ভিসের শুরুতেই
✅ এয়ার ফিল্টার পরিস্কার করিয়ে নিন। কারন ময়লা এয়ারফিল্টারের কারনে বাইকের এক্সিলারেশন, মাইলেজ কিছুই ঠিকঠাক পাবেন না।
ফিল্টার বেশি ময়লা থাকলে পালটে ফেলুন।
✅ চাকার প্রেশার চেক করিয়ে নিন। কেননা প্রেশার বেশি থাকলে ব্রেকিং ভালো হবে না আবার কম থাকলে মাইলেজ কমে যাবে, বাইক ভার ভার লাগবে।
✅ ব্যাটারী চেক করিয়ে নিন। প্রয়োজনে চার্জ করিয়ে নিন এবং বাইকের আর্মেচার ও রেক্টিফায়ার ঠিকঠাক মতো ব্যাটারিতে চার্জ পাঠাচ্ছে কিনা শিওর হয়ে নিন।
✅ ইঞ্জিন অয়েল লেভেল চেক করিয়ে নিন, কম থাকলে টপ আপ করুন আর ভিস্কোসিটি কম থাকলে চেঞ্জ করে ফেলবেন।
✅ হাইড্রলিক ব্রেক অয়েল লেভেল ঠিক আছে কিনা দেখুন এবং অয়েল লিক করে কিনা চেক করে নিন।
✅ ইঞ্জিন হেড দিয়ে অয়েল লিক করে কিনা উকি দিয়ে দেখে নিন, এটা অনেকেই খেয়াল করেন না তাই মনে করিয়ে দিলাম।
✅ এক্সিলারেটর ও ক্লাচ কেবল এডজাস্ট করে নিন, হার্ড মনে হলে কেবল পরিস্কার করে হালকা লুব দিতে পারেন।
✅ স্পার্ক প্লাগ পরিস্কার করান ও গ্যাপ ঠিক করিয়ে নিন, নয়তো দুর্বল স্পার্কিং এর কারনে বাইক চালিয়ে মজা পাবেন না।
✅ ড্রাইভ চেইন এডজাস্ট করাবেন এবং পরিস্কার করে সুন্দর ভাবে লুব করে নিন। চেইন লুব অথবা গিয়ার অয়েল ইউজ করতে পারেন।
✅ সামনের ও পেছনের ব্রেক চেক ও এডজাস্ট করে নিন।
✅ সমস্ত নাট বোল্ট টাইট আছে কিনা চেক করে নেবেন বিশেষ করে চাকার এক্সেল নাট দুটো৷
✅ সমস্ত মুভিং পয়েন্ট এ গ্রিজ করে নিন, এতে সমস্ত অপারেশন স্মুথ থাকবে।
✅ ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিং চেক করে নিন, কোনো লিকেজ থাকলে সারিয়ে নিবেন।
✅ বল রেসার এডজাস্ট করিয়ে নিন।
✅ ভালো পাম্প থেকে ট্যাংক ফুল করে নিন।
সব শেষে দারুন একটা ওয়াশের পর একটা টেস্ট রাইড দিন এবং সন্তুষ্ট হলে নিশ্চিন্ত মনে সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে লং রাইডে বেরিয়ে পড়ুন এবং রাইড উপভোগ করুন।
আপনার জানা আরো কোনো টিপস থাকলে কমেন্টে শেয়ার করুন।
আরো পড়ুন
লেখাঃ ইকবাল আবদুল্লাহ রাজ
এডমিন# কিউরিয়াস বাইকার ডট কম।