YAMAHA & SUZUKI উচ্চ সি সি এর বাইক না আসার ৫ কারন

মার্চ 18, 2024

YAMAHA & SUZUKI উচ্চ সি সি এর বাইক না আসার ৫ কারন
বাংলাদেশের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুটো মোটরবাইক ব্র্যান্ড সুজুকি এবং ইয়ামাহা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে উচ্চ সি সি নিয়ে এ দুটো মোটরবাইক কোম্পানি মনে হয় একদম ঘুমিয়ে আছে। সামাজিক মাধ্যম অথবা ফিজিক্যালি তারা যেসব প্রমোশন চালায় সেই প্রমোশন গুলোর মাধ্যমে কোন ভাবে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না যে তারা হাই সি সি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বা সামনে নতুন কিছু আনবে। পাশাপাশি আরও যেসব ব্র্যান্ডের উচ্চ সি সি এর মোটরসাইকেল রয়েছে যেগুলোর বাংলাদেশে ভালো সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু তারাও মোটামুটি একদম নিশ্চুপ।

সেই সাথে নতুন লঞ্চ হওয়া উচ্চ সি সি বাইক গুলো শুরুতে বেশ হাইপ তুললেও এখন খুব একটা চিৎকার শোনা যাচ্ছে না।

কেন এমন ঘটনা ঘটছে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব?

জয়েন করুন ৬০ হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার

সেগমেন্টে খুব একটা পরিবর্তন নেই

অনুমোদন হওয়া সাড়ে ৩০০ সিসির মধ্যে সুজুকির ২৫০ সিসির সেগমেন্টটা খুব জনপ্রিয়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে বাংলাদেশের চলমান ১৫০ সিসি সুজুকি জিক্সার এবং এস এফ যে বাইক দুটি আছে এ দুটির বাহ্যিক দৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই ২৫০ সিসি তে। শুধুমাত্র সিসি আর আর বাকি সব প্রায় সেইম। এই যেমন ধরেন কিট, স্টিকার, কালার সবকিছু। ফলেএকই রকম দেখতে হওয়াই বাইকগুলো নিয়ে গ্রাহকের খুব একটা আগ্রহ নেই যেটা বুঝতে পেরেছে সুজুকি। ফলে তারা বাইকগুলোর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে যার কারণে তারা পুরো নিশ্চুপ।

আরো পড়তে পারেন

মার্কেটের অবস্থা কেমন হয় সেটার জন্য অপেক্ষা করছে

মার্কেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতে দেখা যায় ইয়ামাহ কে । আর তাই তারা চিন্তা করছে উচ্চ সি সি মার্কেট কেমন গ্রো করে সেটা তারা দেখতে চায়। কারণ ৫০/৬০ ইউনিট সেল করে একটা কোম্পানি রান করতে পারবে না। পাশাপাশি উচ্চ সি সি বাংলাদেশের উৎপাদন করতে হবে তাই এটার অনেক লম্বা একটা ইনভেসমেন্ট দরকার যেটা এই অল্প কয়েক ইউনিট বাইক সেল করে তারা কভার করতে পারবে না। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এজন্য তারা মার্কেটটা গ্রো করার জন্য অপেক্ষা করছে যেহেতু তাদের হাতে বেশ ভালো কিছু মডেল রয়েছে তারা চিন্তা করছে সেই মডেলগুলো তারা বাজারে নিয়ে আসলেই তারা মার্কেটটাকে ধরতে পারবে।

আরো পড়তে পারেন

সার্ভিসে উন্নতি করছে

বাইক যত ভালো ব্র্যান্ডের হোক না কেন সার্ভিস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা মডেলকে ঠিকঠাক ভাবে রাস্তায় চালিত রাখার জন্য। সার্ভিস নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত দেখা যায় বাংলাদেশে ইয়ামাকে। কোন কাস্টমার বিপদে পড়লে তাদের কর্মীদেরকে তারা তোলপাড় করে ফেলে কিভাবে কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করা যায়। যেহেতু উচ্চ সি সি বাইকে অনেক উন্নত ফিচার থাকবে সো সেই ফিচারগুলো তাদের সার্ভিস ম্যানরা সার্ভিস করতে পারবে কিনা অথবা সেই টুলগুলো তাদের সার্ভিস পয়েন্ট এভেইলএবল থাকবে কিনা এগুলো নিয়ে তারা ভাবছে। পাশাপাশি সার্ভিস সেন্টারে এই বাইকগুলোর জন্য আলাদা বে থাকবে কিনা তারা এ বাইকগুলোর কাস্টমারদের সাথে কি রকম আচরণ করবে এই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও তারা সময় নিচ্ছে।

আরো পড়তে পারেন

মানুষের হাতে টাকা নেই

মূলত উচ্চ সি সি বাইকগুলোর কাস্টমার মাসে এভারেজ সর্বোচ্চ ৫০০ ইউনিট। সুতরাং এই 500 ইউনিটের জন্য কতগুলো কোম্পানি মারপিট করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। আবার অন্যদিকে কাস্টমাররা এই মুহূর্তে এত দাম দিয়ে বাইকগুলো কিনতে চাইছে না কারণ এ বাইকগুলো শুধুমাত্র সৌখিন লোকদেরই ব্যবহার করা সামর্থ্য রয়েছে। বাইকগুলোর মাইলেজ ইস্যু সেই সাথে এই বাইকগুলোর পার্টস এর যে দামের আধিক্য থাকবে ইত্যাদি নানান বিষয়ে কাস্টমাররা এখন এতগুলো টাকা একসাথে খরচ করতে চাইছে না।

আরো পড়তে পারেন

বি আর টি এ থেকে নাম্বার সহজলভ্য নয়

যেহেতু মোটরসাইকেল গুলোর জন্য আলাদা কোন অক্ষর বরাদ্দ হয়নি। যেমন ধরেন ১২৫ সিসি সাধারণত সিরিয়েল (হ)150 সিসির বাইকগুলো (ল) সিরিয়ালে হয়। ফলে দেখা যায় গ্রাহকরা তাদের মোটরসাইকেল শোরুম থেকে কিনে নিজেরা যদি চায় নাম্বার করতে সেটা খুব একটা সহজলভ্য নয়। যদিও খুব কম সংখ্যক গ্রাহকই নিজে নিজের নাম্বার করার কাজে সময়টাকে ব্যয় করেন এরপরেও এটা একটা কোম্পানির সুনামের প্রশ্নে অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ কোন গ্রাহক যদি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দেয় যে আমি অমুক বাইক কিনেছি নাম্বার হচ্ছে না তাহলে সেই বাইকের বিক্রি কিন্তু সহসায় কমে যায়।

আরো পড়তে পারেন

সাধারণত এই কারণগুলোকেই আমাদের কাছে মুখ্য কারণ হিসাবে উন্নীত হয়েছে। আপনার কাছে যদি আরো কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণ থাকে তবে আপনি কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন।

ভিডিও অংকের হিসাবে খরচ কম কিসে, মিনারেল নাকি সিনথেটিক ?

ভিডিও খারাপ ফুয়েল নিয়ে চিন্তা নেই আর

ভিডিও ওয়াশের পরেও চকচকে হচ্ছে না, কারণ কি ?