যত দিন যাচ্ছে স্কুটারের চাহিদা বেশ বাড়ছে। মহিলা ও পুরুষ নির্বিশেষে এই জাতীয় টু-হুইলার ব্যবহার করছে। এই স্কুটারের দুনিয়ায় নতুন সংজ্ঞা বহন করে এনেছে অ্যাডভেঞ্চার মডেল। এই জাতীয় স্কুটার দেখলে রাইডিংয়ের সাধ জাগে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ক্রেতাদের এই ভালো লাগাকে হাতিয়ার করে জাপানের বিখ্যাত টু-হুইলার কোম্পানি (Honda) আন্তর্জাতিক বাজারে লঞ্চ করল অ্যাডভেঞ্চার গোত্রের স্টাইলিশ স্কুটার। নয়া সংস্করণের (২০২৩) স্কুটারটির নাম – ADV 160। এটি ছাড়াও বর্তমানে সংস্থার লাইনআপে ১৬০ সিসির অপর দুই মডেল হল PCX160 ও Vario 160।
মডেলটির স্টাইলের প্রসঙ্গে বললে, এতে আগ্রাসী লুক বজায় রাখা হয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে দুটি কালার অপশন – ম্যাট চারকোল গ্রে মেটালিক এবং ভিভাসিটি রেড। এদের মধ্যে প্রথমটির ইয়েলো গ্রাফিক্স সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতই। হোন্ডা এডিভি ১৬০-তে দেওয়া হয়েছে ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং হোন্ডা সিলেক্টটেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC)।
আরো পড়ুন
- মোডিফিকেশন উপকারী নাকি ঝুকিপূর্ণ?
- বাইকের ব্যাটারি অতি দ্রুত নষ্ট হবার কারণ ও প্রতিকার
- যে কারণে বাইকের ডিস্কে (ব্রেকে) সমস্যা হতে পারে?
সংস্থার বক্তব্য এইচএসটিসি ফিচারটি চালক চাইলে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারবেন। এই ফিচারটি পেছনের চাকা ময়লা হলে তা পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। ডুয়েল চ্যানেল এবিএসের ভরসা । Honda ADV 160-এ রয়েছে আইডলিং স্টপ সিস্টেম (ISS)। এটি জ্বালানি সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে। অন্যান্য আপডেটেড প্রসঙ্গে বললে এর ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলে দেওয়া হয়েছে একটি নতুন ডিজাইনের স্পিডোমিটার।নামের সাথে মিল রেখে স্কুটারটিতে একটি ১৫৬.৯ সিসি ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৬.২ পিএস শক্তি এবং ১৪.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইন্দোনেশিয়ার Honda ADV 160-এর দাম বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২,৫০,০০০ টাকা (কর বাদ দিয়ে) রাখা হয়েছে।
এদেশে স্কুটারটির লঞ্চ হলে যে সাড়া ফেলবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে বাংলাদেশে আসবে এ প্রসঙ্গে সংস্থার তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
তথ্য সুত্র টেকগাপ
আরো পড়ুন