আপনি যে বাইকই কিনে না কেন বা আপনার কেনা বাইকের প্রস্তুতকারক যত ভালো কোম্পানি হোক না কেন, বাইকের স্থায়িত্ব নির্ভর করে আপনি কত ভালোভাবে তা রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।
আমার মনে হয় সকল বাইক লাভার এই কথার সাথে একমত হবেন যে বাইক বাঁচে যত্নে দামে বা ব্র্যান্ডের কারণে না।
এই রক্ষণাবেক্ষণের আবার কিছু ধাপ রয়েছে যেমন কিছু কাজ আপনাকে রেগুলার করতে হবে কিছু কাজ করতে হবে সপ্তাহে কিছু মাসে আবার কিছু আছে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সিজনের উপর নির্ভর করে করতে হবে আবার কিছু কাজ আছে আপনাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে।
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে বর্ষাকালে রক্ষণাবেক্ষণের পর্যায়ে কোন কোন পার্টস এর উপর অধিক গুরুত্ব দিবেন সে সম্পর্কে …
ব্রেকঃ অনেকেই বিরক্ত বাইকের ব্রেক এর উপর কারণ বৃষ্টিতে বাইক চালালে ব্রেক থেকে কিচকিচ একটা শব্দ হয় এর কারণ হচ্ছে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট কাদা থাকে আর এই কাদাপানি কোন অবস্থায় কোনভাবে যদি বাইকের ব্রেক এ প্রবেশ করে তখন এটা হয়
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে অন্য সময় কি বালু প্রবেশ করে না? করে তবে তার শুকনা হবার ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বালুটা মিহি গুঁড়ো হয়ে বের হয়ে আসে
<a href="https://curiousbiker.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%a6-%e0%a6%b9%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a7%87/">ব্রেক করলে বাজে শব্দ হয় কেন?</a>
<a href="https://curiousbiker.com/%e0%a6%87%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%bf/">ইঞ্জিন ব্রেক কি ?</a>
কিন্তু বর্ষাকালে বালু গুলো ভেজা থাকার কারণে খুব সহজেই বের হতে পারে না
এর অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে বাইকের ব্রেক এ যদি বারবার বালু ঢুকে যায় তাহলে ব্রেক সু তাড়াতাড়ি ক্ষয় হয়ে যাবে পাশাপাশি ডিস্ক বা ড্রাম তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাবে
<a href="https://curiousbiker.com/%e0%a6%af%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%8d/">যে কারণে বাইকের ডিস্কে (ব্রেকে) সমস্যা হতে পারে?</a>
<a href="https://curiousbiker.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/">ব্রেক কেলিপার পরিষ্কার</a>
এজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে যে কম কাদাযুক্ত রাস্তা নির্বাচন করবেন পাশাপাশি যখনই এরকম বাজে শব্দ আসবে সাথে সাথে বাইকের ব্রেক এ কিছু পানি দিয়ে দিবেন যেন পরিষ্কার হয়ে যায় যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে তাহলে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন এবং সবচেয়ে ভালো হয় ভালো করে পরিষ্কার করে পুনরায় সেটাপ করে নিলে।
চেইন স্পোকেটঃ
বাইকের চেইন স্পোকেট নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি সচেতন কারণ চেইন স্পোকেট পকেট বাইরে থেকে দেখা যায়। এর কোন সমস্যা হলে আমরা সহজেই দেখতে পারি।
<a href="https://curiousbiker.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%93-%e0%a6%b2%e0%a7%81/">বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব করার নিয়ম</a>
যেহেতু বাইকের চেইন এ লুব দেওয়া হয় সুতরাং এই জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি ময়লা বালু আটকে যায় এই কারণে চেইন স্পোকেট খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
কুলিং সিস্টেমঃ
সাধারনত কুলিং সিস্টেম বাইকের ইঞ্জিনের উপর হয়ে থাকে। সাধারন ভাবে বলতে গেলে ইঞ্জিনের উপরে যে খাঁজ কাটা অংশটা থাকে সে গুলোই মূলত বাইকের ইঞ্জিন কে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বৃষ্টি বা কাঁদায় বাইক চালালে এর উপরে কাদার একটা স্তর জমে যায় ফলে ইঞ্জিনে পর্যাপ্ত বাতাস লাগতে পারে না। আবার দীর্ঘদিন এই স্তর থাকলে ইঞ্জিনের রং উঠে যায় বা জং ধরার সম্ভাবনা থাকে।
এই জন্য বৃষ্টির দিনে বাইক চালিয়ে এসে ইঞ্জিন একটু ঠাণ্ডা হলে পানি দিয়ে এই কাঁদা পরিষ্কার করে নিবেন। আবার উপ্তত্ত ইঞ্জিনে পানি দিবেন না, এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। উত্তপ্ত ইঞ্জিনে পানির খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
চাবি/লকঃ বৃষ্টিতে বা বাইক ওয়াসের সময় এই অংশে পানি ঢুকে যায়। সাধারনত ওয়াসের সময়ে বেশি সমস্যা হয় না কারন সামান্য চালালেই শুকিয়ে যায়। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাইক চালালে এই অংশে জং ধরে। অনেক সময় বাইক লক করার সময় স্মুথ ভাবে চাবি বের হয়ে আসে না বা ফুয়েল নেবার সময় ক্যাপ খুলতে চায়না বা লাগতে চায় না।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি কোন প্রটেক্টিভ ব্যাবহার করলে। এখন এই সব জিনিস গুলা রক্ষা করতে বিভিন্ন রকম প্রটেক্টিভ এক্সেসরিজ পাওয়া যায়। অথবা বাইক বন্ধ করার সময় আপনি বাতাস দিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন।
চেইন ল্যুব :
বাইকের চেইন ল্যুব করতে হয় নিয়ম মেনে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রমের পরে নিয়ম মেনে ল্যুব করে নিতে হবে।
প্রতি ৫০০–১০০০ কিলো মিটার বাইক রাইডের মধ্যেই একবার অন্তত চেইন পরিস্কার করা দরকার। বিশেষকরে যাদের চেইনকাভার নেই তাদের ৫০০কিমি অন্তর পরিস্কার করাই ভালো।
অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে নিয়মিত এই কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। হাতে সময় থাকলে বা নিজের প্রয়োজনেও এই কাজটি নিজ হাতে করতে পারেন। প্রয়োজন সামান্য কিছু জিনিস যা বাসাতেই পাওয়া যাবে আর থাকতে হবে কাজের আগ্রহ। বাইকের যেসব পার্টস এ ল্যুবিং এর প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো চেইন আর সাসপেনসন। চাইলে চেইন ল্যুবিং নিজেই করা যায় বাসায়।
চেইন ল্যুব কিভাবে করবেন তা বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন এই আর্টিকেলটি।