বিগত কয়েক মাস ধরে স্পেশালি গত ২-৪ দিন ধরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাইকের প্রাইসিং নিয়ে মানুষের বিভিন্ন জাজমেন্ট/আলোচনা/ সমালোচনা দেখতে পাচ্ছি।
জয়েন করুন 72 হাজারের বেশি বাইকারের গ্রুপ কিউরিয়াস বাইকার
ম্যাক্সিমাম মানুষ দেখলাম ইন্ডিয়ান ওয়েবসাইটের দামের সাথে বাংলাদেশের দামের ডিরেক্ট তুলনা করছে!
তাদের কথা সবাই সেম ট্যাক্স দিলে দাম কমবেশি কেন? কথাটা শুনতে জোক্তিক মনে হলেও আদোতে পার্থক্য আছে অনেক।
এই যেমন ধরেন কিছু বাইক CBU কন্ডিশনে আসে যার ট্যাক্স ১৫১%, যেমন Honda CBR, MT15, R15!
এখন আবার প্রশ্ন আসতে পারে, এই বাইক গুলো CBUতেই আসে কেন? সেম কোম্পানি তো অন্য বাইকগুলা ম্যানুফ্যাকচারিং করে?
উত্তরা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস ভিন্ন মানে, এই বাইক গুলো ম্যানুফ্যাকচারিং করতে লাগে robotic welding, যা কমিউটার বাইকের ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে একদমই অন্য টেকনোলজি।
আবার কমিউটার সেগমেন্টে বাইক মেনুফেকচারিং হলেই duty/tax কিন্তু সেম না! এইখানেও আছে ২টা ভাগ, OEM-1 (38.4℅) আর OEM-2 (48℅-51℅).
আরো পড়তে পারেন
যারা বাইকের ফ্রেম ওয়েল্ডিং করে আর সাথে ১-২ টা parts বানায় (যেমন হ্যান্ডেল বার, সাইডস্ট্যান্ড ইত্যাদি) তারা ৪৮% থেকে ৫১% পর্যন্ত ট্যাক্স দিয়ে থাকে OEM-2 ক্যাটাগরিতে, যেমন FZS বাইক গুলো।
আবার অন্য দিকে যারা OEM-2 এর পাশাপাশি ইঞ্জিন পার্টস খুলে আনে আর ইঞ্জিন এইখান ফিটিং করে তারা OEM-1 ক্যাটাগরিতে duty/tax দেয় 38.4% যেমন Hornet, Gixxer (যদিও Gixxer এর ব্যাপারে recently newspaper এ দেখলাম তারা ভুল ইঞ্জিন এসম্বেল ডিক্লেয়ারেশন দিয়ে কম ডিউটি দিয়ে বাইক এনেছে এতদিন রিসেন্টলি যা authority নজরে এসেছে তাই বলা যায় যে তারা এখন আর এই সুবিধা পাবে না!)।
এখন কথা হচ্ছে সবাই ইঞ্জিন এসম্বেল করে না কেন?
আসলে ইঞ্জিন এসেম্বলি ব্রান্ড এর নিজস্ব প্রযুক্তি যা সহজে ডিস্ট্রিবিউটদের কে ট্রান্সফার করে না আর এই প্রযুক্ত টাও অনেক এক্সপেন্সিভ, আর হোন্ডা বাংলাদেশে নিজে ডিরেক্ট ব্যবসা করায় তারা সহজেই এই টেকনলোজি নিয়ে আসতে পেরেছে!
তাই, বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর বিভিন্ন বাইকের প্রাইজ আলাদা হওয়াটাই আমাদের কাছে মনে হয় স্বাভাবিক!
এখন আসি ৩৫০ সি সি প্রসঙ্গে! বাংলাদেশে প্রথম ৩৫০ সিসির বাইক তাও এত কম দামে?!
আরো পড়তে পারেন
আসলে এইখানেও ১টা কিন্ত আছে! এই বাইক ভারতেও প্রাইজ সেখানকার ১৫০-১৮০ সি সি বাইকের কাছাকাছি!
যেখানে R3 এর প্রাইজ ৪.৬৪ লাখ রুপি, Apache RR310 এর প্রাইজ ২.৫ লাখ রুপি, সেখানে Hunter 350 এর প্রাইজ ১.৫ লাখ রুপির-ও কম যা অনকটাই ভারতের মার্কেটের ১৫০-১৮০ সিসি-র বাইকের দামের কাছাকাছি।
এর কারন-ও আছে, এই এনফিল্ড বাইক গুলো অনেক বেকডেটেড মডেল, প্রায় ১০০+ বছর ধরে একই বাইক সেল করছে, তাই তাদের R&D খরচ নাই বললেই চলে! সেখানে ইয়ামাহা, হোন্ডা বা অন্যান্য কম্পানি গুলো নতুন নতুন টেকনলজি আনার জন্য R&D তে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে, তাই তাদের বাইকের দাম-ও বেশি।
এত সিব কিছু বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারছি না তারা খুব চেলেঞ্জিং প্রাইজ দিসে, বরং বলা যায় বাংলাদেশে প্রাইজ কম নয় বরং ইন্ডিয়ার তুলনায় বেশিই দেয়েছে (ইন্ডিয়ার টায় ABS আছে।
আবার এই বাইকের কিছু এক্সেসরিজ আছে জেগুলা ছাড়া এই বাইকের পরিপূর্ণতা আসবে না, এই যেমন ধরেন ইউন্ডশিল্ড, পিলিওন সিট ইত্যাদি। এগুলা এড করে কিনতে আরো ৫০-৮০ হাজার খরচা করতে হবে।
যাই হোক প্রথম ৩৫০ সি সি লঞ্চ হয়েছে! আশা করি বাংলাদেশে আরও অন্যান্য ব্র্যান্ড-ও ২৫০-৩০০+ সি সি নিয়ে এসে কম্পিটিটিভ মার্কেট ক্রিয়েট করবে!!