বিশ্বব্যাপী ডলার রেট বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি হার বাড়া নিয়ে সারা বিশ্ব এখন অনেক বিপদের সম্মুখীন। ডলার চাঙা থাকায় যেসব দেশ জ্বালানি তেল, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য এবং ধাতব পণ্য রপ্তানি করে তারা অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে। তাদের আয় বাড়ছে। অন্যদিকে আমদানিনির্ভর দেশগুলো পড়েছে বিপদে। সবারই আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দেশগুলো বিদেশ থেকে মূল্যস্ফীতিও আমদানি করছে।
যুদ্ধের কারণে একদিকে বিশ্ববাজারে প্রায় সব পণ্যের আমদানি মূল্য বেড়ে গেছে, আবার সুদহার বাড়ায় অন্য দেশগুলো থেকে নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে পুঁজি ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই দুইয়ের প্রভাবে প্রায় সব দেশেই নিজের মুদ্রাকে অবমূল্যায়ন করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরো পড়ুন
- মোডিফিকেশন উপকারী নাকি ঝুকিপূর্ণ?
- কলিজা কাপানো সাংঘাতিক বিপদের নাম ট্যাংক স্ল্যাপার
- কোনটা ভালো? BS4 নাকি BS6
অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারনে সারা বিশ্বের সকল ইন্ডাস্ট্রি এখন কঠিন সময় পার করছে।
কারন জ্বালানি তেলের সংকট ও বাড়তি ডলার রেট সরাসরি প্রভাব ফেলছে উৎপাদনে।
ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম থেকে শুরু করে মোবাইল,গাড়ি ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান সহ সবার প্রোডাকশনের গতি কমে গেছে।
চাহিদা আর যোগানের সামঞ্জস্য নেই যার কারনে উৎপাদক, ক্রেতা, বিক্রেতা সহ সবাইকেই বেগ পেতে হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন চলতি হিসেবে রেকর্ড ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা যত আয় করছে, তার চেয়ে ব্যয় হচ্ছে অনেক বেশি। কেননা কমেছে রেমিট্যান্স ও বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ফলে ডলারে টান পড়েছে। আর এতেই কমছে টাকার মান।
আরো পড়ুন
- জার্মানি দেশের অয়েল সমাচার ও আমাদের দেশের বাইকারদের কনফিউশ
- ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার নিয়ে আর হেলাফেলা নয়
- ইঞ্জিন ফ্লাশিং, ক্ষতি না লাভ ?
আমাদের দেশের মোটরসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
মূলত আমাদের দেশের মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলো বাজারজাত করা হয় ডিস্ট্রিবিউশন প্রসেসের মাধ্যমে।
কেউ আনে CBU অথবা কেউ আনে CKD কন্ডিশনের বাইক৷
উভয় এর ক্ষেত্রেই ডলার এবং কাঁচা মালের উপর ভরসা করতে হয়। সাথে উচ্চ ট্যাক্সের বোঝা তো আছেই। এর সাথে যোগ হয়েছে বাড়তি পরিবহন ব্যয়।
ডলার রেট বাড়ার কারনে দেশের বাজারে এভেইলেবল সকল মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড তাদের বাইকের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, আসলে নিরুপায় হয়েই মুল্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। কারন আমদানি ব্যয়, পরিবহন ব্যয়, কাচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদন সহ ভোক্তা পর্যায়ে পন্য সরবরাহের প্রতিটি ধাপে খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
কিন্ত যারা সাধারণ ক্রেতা তাদের জন্য এই বাড়তি মুল্য অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ প্রয়োগ করছে। কতদিন এই সমস্যা স্থায়ী হবে সেটাও অনির্দিষ্ট।
যেহেতু সহসাই ডলার রেট এবং জ্বালানি সংকট কমার সম্ভাবনা কম তাই সমসাময়িক মূল্য বিবেচনা করেই আমাদের হিসাব করে বের করতে হবে কোন বাইক আমাদেরকে ভ্যালু ফর মানি বেনিফিট দিবে?
বাড়তি ডলার রেট আর তেল রপ্তানিকারক দেশে যুদ্ধ এই দুইটা সমস্যা মিলে বর্তমান পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে ফুয়েল এর দাম সামনে বাড়তে পারে, এটা একেবারেই স্পস্ট। ইতিমধ্যে আমরা দেখছি বিভিন্ন পাম্পে মাথাপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি তেল বিক্রি করছে না।
তাই এরকম সংকট মোকাবিলায় ফুয়েল এফিসিয়েন্ট বাইক কেনাটাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অর্থাৎ যেসব বাইক মাইলেজ বেশি দেয় সেসব বাইক কিনলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে আমরা লাভবান হবো।
আরো পড়ুন
- ভুল গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের কতটা ক্ষতিকর
- টায়ারের পোস্টমর্টেম
- Motorcycle battery problem and solution
যেহেতু মোটরসাইকেল আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করে এবং সময় ও খরচ দুটোই বাচানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যাবহারে বেশি আগ্রহী তাই লেটেস্ট FI টেকনোলজি, ABS, প্রাইস টু পারফরম্যান্স এবং রিসেল ভ্যালুর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাইক কেনাই সঠিক সিদ্ধান্ত। উপরের বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দিয়ে মোটরবাইক কিনতে গেলে দেখা যায় ইয়ামাহা ব্রান্ডের বাইকগুলো এখন ভ্যালু ফর মানি হিসেবে টপ লিস্টে চলে আসে।
তাছাড়া ফুয়েল এফিসিয়েন্সি, বেটার সার্ভিস, কম্ফোর্ট, লেটেস্ট সেফটি ফিচারের পাশাপাশি ইমার্জেন্সি লিকুইড ক্যাশ দরকার হলে সবচেয়ে বেশি রিসেল ভ্যালু ইয়ামাহার বাইক থেকেই পাওয়া যায়।
ডিউরেবিলিটির দিক থেকেও ইয়ামাহার বাইকগুলো বহু বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।