মনে পড়ে ইয়াহামার তৈরি বংলার সেই ‘আইকনিক’ বাইকের কথা? দু’দশকের বেশি সময় আগে যার উৎপাদনের চাকা থেমে গেলেও আজও ফিনিক্স পাখির মত আনাচে-কানাচে উঁকি দেয় তার অস্তিত্ব। হ্যাঁ, আজও রাস্তায় এবং অনেকের গ্যারেজে গেলে দেখা মেলে ঐতিহাসিক Yamaha RX100-এর।
১৯৮৫-তে যাত্রা শুরু হলেও কালের নিয়মে তা থমকে যায় ১৯৯৬-তে। তবে এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখার তাড়নায় আজ অব্দি ইয়ামাহা তার লেজেন্ডের যন্ত্রাংশের জোগান দিয়ে চলেছে।
আরো পড়ুন
- মোডিফিকেশন উপকারী নাকি ঝুকিপূর্ণ?
- কলিজা কাপানো সাংঘাতিক বিপদের নাম ট্যাংক স্ল্যাপার
- কোনটা ভালো? BS4 নাকি BS6
RX100-এর হাত ধরে এই জাপানি সংস্থা ভারত-বংলাদেশের বুকে তাদের যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল তার সুফল আজও বহমান। বিগত কয়েক বছরে বহু আইকনিক মডেল যা একসময় চিরতরে হারিয়ে গেছিল তা আবার বেঁচে উঠেছে। ফিরে এসেছে নয়া অবতারে। আর এবার পালা RX 100-এর।
এক সাক্ষাৎকারে সংস্থার ভারতীয় শাখার চেয়ারম্যান Eishin Chihana দাবি করেছেন, ইয়ামাহা এখনো পর্যন্ত আইকনিক RX 100 নাম অন্য কোনো মডেলে ব্যবহার করেনি, কারণ এই ব্যাপারে ভবিষ্যতে তাদের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে।
আরো পড়ুন
- জার্মানি দেশের অয়েল সমাচার ও আমাদের দেশের বাইকারদের কনফিউশ
- ইঞ্জিন ফ্লাশিং, ক্ষতি না লাভ ?
- কোন টায়ারটি শুধু আপনার জন্যই বানানো হয়েছে?
এর থেকেই অনুমান করা যায়, পুনরুজ্জীবন পেতে চলেছে RX 100।তবে সমস্যা হল এই মডেলটিতে টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো, যা বর্তমানে BS-6 নীতির পরিপন্থী নয়। আবার এরকম জনপ্রিয় ঐতিহাসিক মডেলের নাম যে কোনো একটি মডেলের উপর চাপিয়ে দিয়ে দায় সারা কাজ করতে অনিচ্ছুক এই সংস্থা। কারণ নয়া অবতারে হাজির হওয়া মডেলটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে প্রায় তিন-দশক আগের সেই স্মৃতি।
ইয়ামাহা কর্তা বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাদের সমস্ত মডেলগুলির পরিকল্পনা করা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। অতএব ২০২৬-এর আগে RX 100 নিয়ে কিছু করা অসম্ভব। সুতরাং, আর তিন-চার বছরের মধ্যে ইনস্ট্যালজিয়া উস্কে লেজেন্ডের প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। আপাতত, নতুন রূপে আইকনিক Yamaha RX100 এর লঞ্চের দিকেই তাকিয়ে অগণিত ইয়ামাহাপ্রেমী।
আরো পড়ুন
- ইঞ্জিন অয়েল লিক করে কেন
- ভুল গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের কতটা ক্ষতিকর
- The effect of water on hot disc brakes
প্রসঙ্গত, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতে তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক স্কুটার লঞ্চের পরিকল্পনায় মগ্ন ইয়ামাহা। ইতিমধ্যেই তার কার্যকারিতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সুনাম বজায় রেখে সংস্থার লক্ষ্য, একটি ভরসাযোগ্য ইলেকট্রিক স্কুটার ভারতীয় ক্রেতাদের পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে গ্রেটার নয়ডা ও তামিলনাড়ুতে তাদের কারখানা রয়েছে। সেখান থেকে বিশ্বের ৩০ টি দেশে বাইক ও স্কুটার রপ্তানি করা হয়।
তথ্য সূত্র techgup.com